Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কি সেবা কিভাবে পাবেন

সরকারি সেবাসমূহ : বিভিন্ন সরকারি ফরম, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অনলাইন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভিজিএফ-ভিজিডি তালিকা ও নাগরিক সনদ প্রভৃতি।

 

জীবনজীবিকা ভিত্তিক তথ্য : কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন ও মানবাধিকার, পর্যটন, অকৃষি উদ্যোগ প্রভৃতি। জীবনজীবিকা ভিত্তিক তথ্যভান্ডার ‘জাতীয় ই-তথ্যকোষ’ (www.infokosh.bangladesh.gov.bd) থেকে এ তথ্যসমূহ প্রদান করা হয়ে থাকে। অনলাইনের পাশাপাশি ইউআইএসসিসমূহে জাতীয় ই-তথ্যকোষের অফলাইন ভার্সনও (সিডি/ডিভিডি) রয়েছে, যাতে করে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।

 

বানিজ্যিক সেবা: মোবাইল ব্যাংকিং (ডাচ বাংলা, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক-বিকাশ, মাকেন্টাইল ব্যাংক), ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংরেজী শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ছবি তোলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল, চাকুরির তথ্য, কম্পোজ, ভিসা আবেদন ও ট্র্যাকিং, দেশে-বিদেশে ভিডিওতে কনফারেন্সিং, সচেতনতামূলক ভিডিও শো, প্রিন্টিং, স্ক্যানিং, ফটোকপি, লেমিনেটিং, ফ্লেক্সিলোড, ফোন কল করা প্রভৃতি।

 

ইউআইএসসি প্রতিষ্ঠার ফলেসমাজও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করা সম্ভবপর হয়েছে, যেখানে মানুষকে আর েবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে ...ইউনিয়নপরিষদে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপনের ফলে সাধারন নাগরিকগণ এখন সহজে, কম খরচে ও ঝামেলাহীনভাবে প্রায় ৬০ ধরনের সরকারি-বেসরকারিসেবাইউআইএসসি থেকে পাচ্ছে। আমরা আর পিছিয়ে নেই, ইউ.আই.এস.সি'র যাত্রার মাধ্যমে তথ্য -প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ গড়ায় এগিয়ে যাচ্ছি। ইউ.আই.এস.সি প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি অবাধ তথ্যপ্রবাহ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। যেখানে মানুষকে আর সেবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছেনা, বরং সেবাই ...আমাদের লক্ষ্য

ইউআইএসসি প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করা সম্ভবপরহয়েছে, যেখানে মানুষকে আরসেবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে না, বরং সেবাই পৌঁছে যাচ্ছেমানুষেরদোরগোড়ায়। অবাধ তথ্য প্রবাহ জনগনের ক্ষমতায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। দেশের ৪,৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপনের ফলে ...

 

ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রগুলো (ইউআইএসসি) প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে ডিজিটাল সেবা দিয়ে গত দুই বছরে ১২০ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা জানান, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ইউআইএসসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। জনগণ এ সুযোগ কাজেও লাগাচ্ছে। আর এ সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইউআইএসসির আয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরিমুকরি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অবস্থানরত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রশাসক হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে কথা বলে দেশব্যাপী ৪ হাজার ৫০১টি কম্পিউটার প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আধুনিক ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। দেশে ৪ হাজার ৫৪৫টি ইউনিয়নের মধ্যে এ বছরের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ হাজার ৫১৬টিতে এ তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
ইউআইএসসি প্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এটুআই প্রোগ্রামের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, বিভাগ, জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা ধরনের ইসেবা (ইলেক্ট্রনিক সেবা) তৈরি হয়েছে। ফলে প্রচলিত ধারার সেবা পদ্ধতিতে বিরাট পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। মানুষ এখন ধীরে ধীরে ডিজিটাল পদ্ধতির সেবা গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশের অধিকাংশ মানুষ যাদের বাস গ্রামে, তাদের কাছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা পৌঁছে দেয়া একথা উল্লেখ করে নজরুল বলেন, সে কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে বটম-আপ-এপ্রোচের মাধ্যমে অর্থাৎ তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পর্যন্ত এসব সেবা ই-সেবায় পরিণত করে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
দেশের প্রতিটি ইউআইএসসিতে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটার, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা, ইন্টারনেট সংযোগ, ফটোকপিয়ার মেশিনসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি রয়েছে। বর্তমানে এসব সেবাকেন্দ্র থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, জমির পর্চা প্রদান, স্কাইপেতে কথা বলা, স্বাস্থ্য ও কৃষি সম্পর্কিত তথ্য, টেলিমেডিসিন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাসহ প্রায় ২৫ ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এসব সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে।
এটুআই প্রোগ্রামের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা বলেন, দেশের ৪ হাজার ৫১৬টি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মধ্যে ১৭০০টিতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ২০ হাজার গ্রাহক প্রতিমাসে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা লেনদেন করছেন। এছাড়াও ২২০০টি তথ্য সেবা কেন্দ্রে জীবন বীমা পলিসি চালু করা হয়েছে। এসকল কেন্দ্রে ২২০০ জীবন বীমা পলিসি গ্রহীতা এ পর্যন্ত ৪৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রিমিয়াম জমা দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নাইমুজ্জামান মুক্তা আরো বলেন, ৩০টি তথ্য সেবাকেন্দ্রে ইতোমধ্যে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ রাজধানী ঢাকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে স্কাইপেতে কথা বলে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিটি তথ্য সেবাকেন্দ্রে গ্রামের শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৫ হাজার তরুণ তরুণীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ প্রশিক্ষণ দেয়ার ফলে প্রশিক্ষিতরা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।